পাহাড়ে মেয়েরা মেঘের মতন হয়,
অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমঘোর আঁকড়ে রাখে,
রোদ বোঝা গেলে সকাল সাজিয়ে দেয়
সবুজ সবুজ গাছ আঁকা,
ঠান্ডা কামড়ে – আহ্লাদের মতোই
প্রবল চুমুর মতো ভোরের চায়ের তৃষ্ণায়
ঠোঁট ফেটে ওঠে অসময়ে –
বেলা বড়ো হতে থাকে
নরম শরীরের মতো হাওয়া
সব মুছিয়ে দিচ্ছে
ডানদিক বাঁদিক, কুয়াশার পর্দায়
সবুজ গাছগুলো, ভিজে রাস্তা –
মেয়েদের ইস্কুল, দু-একটা নার্সারী
জংলা পাতাবাহার।
হঠাৎ মারুতির হর্ণে মনে হয়
ছবি তুলতে গেলে এক তৃতীয়াংশ মেঘ রাখা ভালো
বাকিটা গাছ আর রাস্তা, আর
ঝিঁঝিঁর ডাক আর মারুতির শব্দও,
তারপর বেলা আরও প্রৌঢ় হয়
দিন পড়ে আসে
দূরের আবছা বরফ আবছা নদী আরও ম্লান হয় –
ক্যাম্পফায়ারের মতো সন্ধে জ্বলে ওঠে
হোটেলের বন্ধ ঘরে।
পাহাড়ের গায়ে গায়ে মেয়েদের গন্ধ –
বরফের তীব্রতা নেয়।
আস্তে আস্তে রাত ঘন হয়ে এলো
মেঘ রোদ বৃষ্টি সমস্ত সরিয়ে দিয়ে
আমার স্বপ্ন আঁকড়ে ধ’রেছে
তোমার বাঙালী অবয়ব।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment