স্বাধীনতা দিবসেও ফুটপাথে ল্যাংটো ছেলেটা
মৌলালি মসজিদ জামা খুলে বিছানা পেতেছে
এখানে আজান হয় প্রতিদিন সন্ধে-সকালে
রাত গাঢ় হ’লে রোজ সত্যিই নবী নেমে আসে
তখন তো শহরের সভ্যেরা ঘরে, ঘুমঘোরে
রিক্ত রাস্তা ধ’রে একা একা হাঁটে সমকাল
উপচানো ভ্যাট ঘেঁটে সে বুঝেছে খিদেটাও ক্ষত
দূরপাল্লার বাস এই সব ছেড়ে চলে যায়
আমরা কাগজ পড়ি, বস্তুত লজ্জাবশতঃ
রয়েড স্ট্রীটের থেকে বাঁক ঘুরে এ্যাংলোপাড়া-টা
প্রথম ট্রামের মতো সংগতি মোড় ছেড়ে গ্যাছে
এখন একলা দিন ঘরে ঘরে পর্দার ফাঁকে
বিষণ্ণ মন জানে এ রাস্তা একাই হাঁটার
পায়ের তীব্র ক্ষোভে ভাঙা ইঁটে শট মেরে চলা
আচমকা পোষ্টারে খুঁজে দেখা রোগ নিরাময়
কলেজের সারি ধরে ভর্তির নোটিশ টানানো
ভালোবাসা ভুল ভেবে যে ছেলেটা রাস্তায় একা
শহর দেখলো তার মুখটাকে, আয়নার মতো
রাস্তা পিচের ফাঁকে জল পেলো আবার বাঁচার
গলি ভ’রে ছাতা ওড়ে লুকিয়েছি আমরা এখানে
তেতলার টবে ফোটে দোপাটির প্রথম কুঁড়িটি
আজকে চাষের দিন, বন্ধুরা বাইপাসে চলো
সবাই সবুজ মাখি আলপথে, জল ছপছপে
তবুও আসেনা কেউ, পড়ে থাকে কাদা মাখা রাখি
কলকাতা কেঁদে ফেলে, মুখ গুঁজে আমার কাঁধেতে
ডিস্কোর ঠেক ছেড়ে তুমি নেমে আসোনি এবং
মহানাগরিকও তাকে ফেলে রেখে চলে গ্যাছে দূরে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment